কথা ছিল—–
-শিবানী গুপ্ত
এ্যাই,একটু শুনবে? কথা ছিল-
– – – ওফ্ কি বললে!
সময় নেই বুঝি? তা, কিসের এতো ব্যস্ততা শুনি!
সেই—-পঁচিশ থেকে ষাট অব্দি ছুটেই তো চলেছো বাপু!
কোনদিন, কখনো সময় হয়েছে শুনবার? হুঁ,যত্তোসব!
আজ কেন, কোনদিনই সময় আর হবেনা তোমার, সে আমি হলফ করে বলতেপারি। বিলক্ষণ জানি বটে।
অথচ, কথা প’রে কথা জমে জমে বুকের চত্বরে যে ইতিহাসের পাহাড় গড়ে উঠেছে গো!
আচ্ছা ! মানুষ এতো বদলে যায় কেন? কেউ কি বলতে পারবে?
ভালবেসেই তো সংসার পেতেছিলাম আমরা দুজনে। বছরখানেক সবকিছু কতোনা শোভন, দৃষ্টিনন্দন, দারুণ রকমের রোমান্টিকতায় ভরপুর!
আর! তারপরই তো – – – –
দিনক্ষণ তো আর পাঁজিতে দেখে রাখিনি বাপু। নইলে,হিসেবটা মনে থাকতো–
তা, এখন তো, সংসারের আর দশটা আসবাবের মতো আমিও- – –
ওহ্ না, না, আসবাব দামী হলেও আমি —আমিতো নেহাৎই নগণ্য।
তাছাড়া, আমার বেলাতেই যতো সময়ের অভাব,অফিসের
চাপ, কাজের নানা ফিরিস্তি–
নইলে, ইলা, মানে, চিনা, ক্যাটরিনাদের বেলায় তো দেখি
অফুরন্ত সময়, তখন, তোমার চোখমুখের ভাষাই পাল্টে যায়, তোমার মুখে লুটোপুটি খায় বেহায়া চাঁদের বেলাজ হাসির লহর, দেখিনি ভেবেছো!
আর, আমি আশ্চর্য্য হয়ে যাই, কানপেতে শুনে দারুণ চমকও লাগে – – – – –
এতো সুন্দর সহাস্যকথাও তুমি বলতে পারো! কথা তো নয়, যেন, মিছরীরপাকে ডোবানো, সত্যি, ভাবা যায়!
তাহলে, সব কৃপনতা কি শুধু আমার বেলাতেই – – – –
যাকগে্ —————–
থাক তবে, আর বলবোই না, কথা নিকুচি করেছে—